OrdinaryITPostAd

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না । বিশ্বের অনেক দেশেই চিয়া সিডকে অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পুষ্টিগুণে ভরা এই চিয়া সিড । তাই চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সবার জানা প্রয়োজন । আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টটিতে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও  খাওয়ার  নিয়ম সম্পর্কে  আপনাদেরকে জানাতে হাজির হয়েছি ।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও  খাওয়ার নিয়মচিয়া সিড খাওয়ার প্রচলন আমাদের দেশে সেভাবে না থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাচীনকাল হতে সিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খাওয়া হয় । চিয়া সিডকে সুপার ফুড ও বলা হয়ে থাকে ।

পোস্ট সূচিপত্র : চিয়া সিট খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

ভূমিকা

আমাদের দেশে এখনো অনেকেই চিয়া সিডের পুষ্টিগুন, উপকারিতা এবং এটি কিভাবে খেতে হয় তা হয়তো জানিনা । এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন চিয়া সিড কি, চিয়া সিডের পুষ্টিগুন, খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম । তাই চিয়া সিড সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি পড়ুন ।

চিয়া সিড কি

চিয়া সিড মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো অঞ্চলে জন্মানো একটি বীজ । অতি প্রাচীনকাল হতেই এইসব অঞ্চলের লোকজন এই বীজ পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খেয়ে থাকে । চিয়া বীজ গুলো অনেক ছোট ছোট হয় । দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের তিলের মত । সাদা , কালো এবং বাদামি রঙের হয়ে থাকে চিয়া বীজ ।

চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ

চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার । চিয়া চিডে বেশ কয়েক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে । চিয়া বীজ কে এজন্য সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করা হয় । এটি খুব সহজে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পারে । এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম , ভিটামিন সি , আয়রন , পটাশিয়াম প্রোটিন,ওমেগা-৩ , ম্যাগনেসিয়াম সহ আর অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়া চিডে যেহেতু বেশ কয়েক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাই চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী । চিয়া সিড যে শুধু পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে তাই না এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে । নিচে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ঃ

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ঃ বর্তমানে বহু মানুষ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে । কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে চিয়া সিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় । চিয়া চিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় । তাই হৃদরোগের ঝুকি থেকে বাঁচতে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন ।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে ঃ  শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমে থাকে । যা একসময় বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে । চিয়া চিডে থাকা ওমেগা-৩ এইসব ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে ।

শরীরের শক্তি যোগায় ঃ চিয়া চিডে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায় এবং মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে ।

এন্টিবডি তৈরি করে ঃ চিয়া চিডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এন্টিবডি তৈরি করে । এন্টিবডি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ বালাই প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে ।


ওজন হ্রাস করে ঃ শরীরের অতিরিক্ত ওজন বর্তমানে একটি বড় সমস্যা । এই অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েট করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন । কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে চিয়া চিড খেলে ওজন কমে । হাঁ চিয়া চিড ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধী ঃ চিয়া চিড ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে । তাই ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগী নিয়মিত চিয়া চিড খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।

এসিডিটি দূর করে ঃ আমরা অনেকেই এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকি । গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল । কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে নিয়মিত চিয়া চিড খেলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দূর হয় । চিয়া চিড পেটের গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে এসিডিটি দূর করে থাকে ।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ঃ চিয়া বীজ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর । কারো যদি খাবার হজমে সমস্যা থাকে তাহলে চিয়া বীজ খান সমস্যা দূর হয়ে যাবে ।

হাঁটু এবং জয়েন্টের ব্যাথা দূর করে :হাঁটু এবং জয়েন্টের ব্যথা মূলত ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়ে থাকে । চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে । চিয়া বীজ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হাঁটু এবং জয়েন্টের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে ।

ঘুমের সহায়ক ঃ চিয়া বীজ ঘুমের সহায়ক । চিয়া বীজ ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে । ঘুমের সমস্যা হলে চিয়া বীজ খেতে পারেন ।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড বেশ কয়েকভাবে খাওয়া যেতে পারে । চিয়া বীজ যেহেতু কোন সাদ বা গন্ধ নাই তাই এটি অন্যান্য খাবারের সাথে ও মিশিয়ে খেতে পারেন । চিয়া বীজ আপনি কিভাবে খাবেন তা জেনে নিন ।
  • চিয়া সিড তৈরিকৃত অন্যান্য শরবতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।
  • রাতে ঘুমাবার আগে এবং সকালে খালি পেটে চিয়া বীজ খেতে পারেন । খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে ১ থেকে ২ চা চামচ চিয়া বীজ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপরে পান করুন 
  • চিয়া বীজ বিভিন্ন প্রকার সালাদের উপর ছিটিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।
  • ব্লেন্ডারে বিভিন্ন প্রকার  ফল ব্লেন্ড করে তার সাথে মিশিয়ে  খেতে পারেন ।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো এতক্ষণে চিয়া সিডের ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন । আপনাদের সবার সুস্থতা আমাদের কাম্য । স্বাস্থ্য,  তথ্য প্রযুক্তি, লাইফ স্টাইল সহ আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে  নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন । সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪